অ্যাস্ট্রাজেনেকার সব টিকাই বিলিয়ে দেবার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র
টরন্টো, এপ্রিল ২৭: কেন্দ্রীয় পর্যালোচনায় সবুজ সংকেত পেলে যুক্তরাষ্ট্র তার জোগানে থাকা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সব টিকাই বিলিয়ে দেবার পরিকল্পনা করছে। এ কথা গতকাল হোয়াট হাউজ থেকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানানো হয়েছে, যেখানে ৬ কোটি টিকা আগামী কয়েক মাসে রফতানির উপযোগী হবে আশা করা হচ্ছে।
এটি এখন গত মাসে বাইডেন প্রশাসন থেকে কানাডা ও ম্যাক্সিকোকে ৪০ লাখ টিকা বিতরণের পর সম্প্রসারিত উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কানাডাসহ বিশ্বের সর্বত্র ব্যবহৃত হবার নজির সৃষ্টি হয়েছে, তবু সেটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমান্বয়ে তার দেশে ব্যবহৃত তিনটি টিকার বিষয়ে যথেষ্ট আস্থাশীল হয়ে ওঠেছে, এমনকী গত সপ্তাহান্তে একক ডোজ বিশিষ্ট জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রেও তার কমতি ঘটেনি।
এর মাঝে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে টিকা বিতরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট চাপের মুখে রয়েছে, কেননা ভারতের মতো দেশে জীবাণু সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে অপরাপর দেশ তার জনগোষ্ঠির সুরক্ষায় নিদারুন টিকা সংকটের আবর্তে নিপতিত।
হোয়াইট হাউজের কোভিড-১৯ বিষয়ক সমন্বয়ক জেফ ঝাইয়েটস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কছে যে টিকার মজুত রয়েছে, যা এফডিএ অনুমোদন দিয়েছে এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকাগুলো এফডিএ অনুমোদন এখনও দেয়নি, সেক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাসে অ্যাস্ট্রাজেসেকার টিকা আমাদের দেশে ব্যবহারের আর কোনো প্রয়োজন নেই। সেজন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগুলো অনুমোদিত হলেই অন্য দেশে বিতরণের উপায়ান্তরটি ভেবে দেখা হচ্ছে।’
এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ৩০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন, যার মাঝে এক যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গেছেন ৫ লাখ ৭২ হাজার মানুষ।
তাতে ৫ কোটির বেশি টিকা উৎপাদনের নানা প্রক্রিয়ায় রয়েছে, এমনকী তা মে ও জুন মাসে এফডিএ’র অনুমোদন পেলে সরবরাহ করা হবে।
তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগুলো কোথায় পাঠানো হবে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তা-ভাবনা করছে। সেক্ষেত্রে কানাডা ও মেক্সিকো আরও বেশি টিকার ডোজ পেতে বাইডেন প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও ডজনাধিক দেশ ওই টিকা পেতে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওই টিকাগুলো বিতরণের সিদ্ধান্ত নেবে, কেননা ওই কোম্পানির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সর্বসাকুল্যে ৩০ কোটি ডোজ টিকা পেতে চুক্তি করে রেখেছে, যদিও কোম্পানিটি উৎপাদন সংক্রান্ত জটিলতায় পড়েছে।