আমরা ড. ইউনূস-কে নিরাপদে দেখতে চাই, সাক্ষাতকারে জানালেন স্যাম ডালে-হ্যারিস
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোষ্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রকাশিত খোলা চিঠির বিষয়ে স্বাক্ষরদাতাদের অন্যতম আমেরিকার গ্রন্থকার এবং দারিদ্রবিমোচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা স্যাম ডালে-হ্যারিস (in the pic above, from citizensclimatelobby.org) একান্ত সাক্ষাতকারে সবিস্তর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ৪০ জন জননেতা ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তারা সাধারণঅর্থে বিশ্বের লাখো কোটি মানুষের পরিচিত, যারা মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মে অনুপ্রাণিত ও উপকৃত এবং তারা তার নিরাপদ জীবন চান।’ আরও যোগ করে বলেছেন, ‘যারা স্বাক্ষর করেছেন, তারা প্রত্যাশী তাদের জনপরিচিতির কারণে বিশ্ব জানুক প্রফেসর ইউনূসের ওয়াকিবহাল। আমরা ওই বক্তব্য কোনো পত্রিকায় ছাপা হলো কি হলো না, তার অপেক্ষায় না থেকে ছাপিয়েছি।’
অপর এক প্রশ্ন খোলাসা করতে গিয়ে স্যাম ডালে-হ্যারিস বলেছেন, আমাদের এই ক্ষুদ্র গ্রুপটির প্রয়াস [বাংলাদেশ] কর্তৃপক্ষ যাতে বোঝে বিশ্ব সেটা দেখছে। আমরা সরকার প্রধানের বক্তব্য পড়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়েছি যে, ‘[ইউনূসকে] পদ্মানদীতে দু’বার একটু চুবাতে হবে। যাতে মারা না যায় সেজন্য চুবিয়ে ব্রিজে তুলতে হব্;ে সম্ভবত তাতে তার শিক্ষা হবে।’
তিনি অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, ‘না, প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপই আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে, তিনি উস্কে দেননি।’
ওই চিঠিতে প্রফেসর ইউনূসের যে গুণগান করা হয়েছে সেটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্যাম ডালে-হ্যারিস বলেছেন, ‘১৯৮৭ সাল থেকে শুরু করে ২৫ বছর ধরে প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে আমি একনিষ্ঠভাবে যুক্ত থেকে কাজ করছি। ১৯৯০ সালে চারটি দেশের ২৮ জন স্বেচ্ছাসেবক, যাদের সকলেই আমার প্রতিষ্ঠিত দারিদ্রবিরোধী লবিভুক্ত, তারা বাংলাদেশ সফর করি। আমরা ১৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পাঁচদিন ধরে গ্রামে থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারী ও ঋণগ্রহীতাদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছি। আমরা সেই চমকিত কর্মকান্ড স্বচক্ষে দেখেছি। আমরা প্রফেসর ইউনূসকে জানি, আমরা তার সততা এবং একই সঙ্গে দেশের উন্নয়নে তার অঙ্গীকার প্রত্যক্ষ করেছি। তাই আমরা তার স্বাধীনতার বিপক্ষে ওই হুমকিসহ চলমান একাধিক ভুয়া তদন্তকে বিবেচনায় নিয়েছি।’
পরিশেষে তিনি ওই প্রকাশিত চিঠির ফলাফল জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি তাতে এই দারিদ্রবিমোচনের নিঃস্বার্থ ও অক্লান্ত পরিশ্রমীর প্রতি হয়রানি বন্ধ হবে, অন্তত সরকার ও সরকার প্রভাবকদের তরফ থেকে। এতে তার সময় ও কর্মশক্তি বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পথকে প্রশস্থ করবে।’