কানাডায় তৈরি করোনা টিকার ট্রায়াল শুরু

টরন্টো, এপ্রিল ১৬: এই প্রথম কানাডায় তৈরি কোভিড-১৯ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এতে গতকাল আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জন লিউসের নেতৃত্বে এডমন্টনভিত্তিক এন্টস ফার্মাসিউটিক্যালের ল্যাবে তৈরি প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল টিকাটি মানব দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে।

 

এই টিকার নাম কোভিজেনিক্স ভ্যাক্স-০০১, যা নোভা স্কশিয়ার হেলিফ্যাক্সে অবস্থিত কানাডিয়ান সেন্টার ফর ভ্যাক্সিনোলজিতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে দেয়া হয়েছে। সেখানে ১৮ থেকে ৫৫ এবং ৬৫ থেকে ৮৪ বছর বয়সী মোট ৭৩ জনকে তা পর্যায়ক্রমে প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এন্টস ফার্মাসিউটিক্যালের প্রত্যাশা, দুই মাসের মধ্যে তারা তাদের প্রয়োগকৃত টিকার নিরাপদ বৃত্তান্ত জানতে পারবে এবং একই সঙ্গে এই ডিএনএ-নির্ভর টিকাটি ব্যবহারে হেলথ্ কানাডা অনুমোদন দেবে।

 

ওই টিকার গবেষক ড. জন লিউস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপি আমাদের ১৬০০ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন এবং আমি বিশ্বাস করি ডিএনএ হচ্ছে এই পথে উত্তম পদক্ষেপ।’

এর আগে এই বছরের শুরুতে গবেষক লিউস জানিয়েছেন, এন্টসে তৈরি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ‘উত্তম জীবাণুধ্বংসী হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে’ এবং তা আদি ‘সার্স-কোভ-২’ ও তার বিস্তৃত ভেরিয়্যান্ট প্রতিরোধেও সক্ষম। তাতে গবেষকরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে বলছেন, এই ভ্যাকসিনের একটি মাত্র ডোজই নিরাপত্তার উপযোগী।

 

জানা গেছে, ওই ভ্যাকসিনের পুরোটাই স্বদেশে প্রক্রিয়াজাত এবং তা আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবার্টা সেল থেরাপি ম্যানুফেকচারিং (এসিটিএম) প্রকল্পে গবেষণাপ্রসূত। সেজন্য ড. লিউসের কথা, ‘তাই ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও কানাডা পিছিয়ে নেই। এখন আমরা যত দ্রুত নিরাময় তৈরিতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবো, তত দ্রুই নিরাময়টি পেয়ে যাবো।’