কেন বাংলাদেশিরা বিদেশ যেতে এতোটা বেপরোয়া?
গত শনিবার রয়টার্সের খবরে প্রকাশ, পূর্ব মেক্সিকোয় দুটি ট্রাকের পেছনে ৬০০ লোককে লুকায়িত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ৩৭ জনই বাংলাদেশি, সে কথা স্বয়ং জানিয়েছে রাষ্ট্রের ন্যাশনাল মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউট (আইএনএম)। এরা সবাই দারিদ্র্যতা ও সহিংসতা থেকে মুক্তি পেতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে রওয়ানা হয়েছিলেন।
তথাপি যে কেউ অনলাইনে বাংলাদেশিদের এমন জীবন বাজি রেখে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং ইউরোপের নানা দেশে যাওয়ার অহরহ খবর জানতে পারেন, যা সচরাচর দেশের গণমাধ্যমে অনুপস্থিত।
তেমনি ২০১৭ সালের ১৯ মে ওয়াশিংটন পোস্টে ম্যানহাটনভিল কলেজের এশিয়ান স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপিকা নাইমা কাইয়ুম একটি সুদীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন, যার শিরোনাম: ‘হোয়্যার আর ইউরোপ’স ইললিগ্যাল মাইগ্র্যান্টস কামিং ফ্রম? সারপ্রাইজ: ইট’স বাংলাদেশ।’ এতে পরিশেষে তিনি লিখেছেন, ‘এ বছর সহ¯্রাধিক অভিবাসী লিবিয়া থেকে ইতালির পথে প্রান হারান। তারা কেবল সংঘাত ও নিষ্পেষন থেকে রেহাই পেতে পালিয়ে যাননি, বরং দৈন্যতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির প্রত্যাশায় জীবন বিপন্ন করেছেন।’
আপাতদৃষ্টিতে সকলেই ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেছেন। তবু জানার ইচ্ছা, কেন ওই অভিবাসন অভিযাত্রা এতোটা অর্থপূর্ণ?
Graphic from Dhaka Tribune