গণতন্ত্রের জন্য কে বিশ্বস্ত: চীন না যুক্তরাষ্ট্র?
এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব গণতন্ত্র সম্মেলন সম্পন্ন করেছে।
আপাতদৃষ্টিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার সদ্য সমাপ্য গণতন্ত্র সম্মেলনে চীনকে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণেই সেই বাড়তি প্রচারণা।
এতে গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে তারা অনলাইনে সামিল হয়ে চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থাটি তুলে ধরায় প্রয়াসী হন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে মুখ থুবড়ে পড়া ব্যবস্থার তুলনায় জনগণ অধিকতর সুফল পাচ্ছে বলে বলা হয়েছে।
‘চীনের পুরো ব্যবস্থাটি গণমানুষের গণতন্ত্র, যা কেবল নির্বাচনকালীন জেগে ওঠে না এবং পরে নিদ্রায় যায় না’, বলেন চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি উচেং। বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ৩০ পৃষ্টায় রচিত ‘চায়না: ডেমোক্রেসি দ্যাট ওয়ার্কস’-এর সংক্ষেপিত বিষয়বস্তুটি তুলে ধরেছে, এমনকী সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সমালোচনাসহ রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্রগুলো চীনের ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্নবানপূর্ণ সম্পাদকীয় ছেপেছে।
এছাড়া যৌক্তিকতা দেখাতে গিয়ে বলেছে, যদিও চীনে সরাসরি নির্বাচন বা বহুদলীয় শাসন নেই, তথাপি দেশ প্রতিনিধিত্বে নিয়োজিত কতিপয়কে যেখানে সুদীর্ঘ সময় ধরে দলগতভাবে বলা হয় ‘পিপল্স ডেমোক্রেটিক ডিক্টেটরশিপ’ অর্থাৎ জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র, সেটি গণমানুষের আকাঙ্খা অনুধাবণে সক্ষম। দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কড়া মেজাজেই রয়েছেন।
তা হলে গণতন্ত্রের জন্য কে বিশ্বস্ত: চীন না যুক্তরাষ্ট্র?
In the pic, Xi Jinping (from Wikipedia)