চীন-ভারত সীমান্ত স্থিতাবস্থায় সম্মত হয়েছে, বাংলাদেশ কেন পারে না?
গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনের পর আাবারও এবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে আলোচনায় বসেছেন এবং হিমালয়ের পাদদেশ জুড়ে ৩,০০০ কিলোমিটার বা ১,৮৬০ মাইল সুদীর্ঘ লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) হিসেবে অভিহিত সীমান্তরেখায় বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমনে প্রত্যেকের কর্তৃপক্ষকে সংযত হওয়ার আহবান জানাবেন বলে সম্মত হয়েছেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিণয় কোয়াত্রা সেখানে এক সাংবাদিক সমাবেশে বলেছেন যে, এ বিষয়ে দুই নেতা নিজ কর্মকর্তাদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে দ্রæত সংযত হতে আহবান জানাবেন বলে সম্মত হয়েছেন। তিনি মোদিকে উদ্ধৃত করে আরও বলেন, সীমান্তের এলএসি’র প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান প্রদর্শনসহ শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অপরিহার্যতার ভিত্তিতেই কেবল ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।
ওই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ ও ভারত কী তাদের মধ্যকার পৃথিবীর পঞ্চম সুদীর্ঘ আন্তর্জাতিক তথা ৪,০৯৬ কিলোমিটার বা ২,৫৪৫ মাইল দীর্ঘ সীমান্তরেখায় ‘শান্তি ও স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখতে অর্থাৎ দশকের পর দশক জুড়ে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক কোনো বাংলাদেশি হত্যা বন্ধে তেমন সুউচ্চ বৈঠকে বসতে পারে না?
Map from : https://en.wikipedia.