টরন্টোয় সড়ক দুঘর্টনায় নিহত নাদিয়ার জন্য বাংলাদেশি কমিউনিটির শোক
সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী বার্চমাউন্ট পার্ক কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাদিয়া মজুমদারের অকাল মৃত্যুতে টরন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটি গভীর শোকাভিভূত। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার অপরাহ্নের কিছু আগে স্কুলের নিকটবর্তী বার্চমাউন্ট ও ডেনফোর্থ সংযোগস্থল
অতিক্রম করার সময় একটি মিনিভ্যান তাকে চাপা দেয়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতাল নেয়ার পথে সে মারা যায়। বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার কানাডায় তার জানাজা শেষে অশ্রুসিক্ত পিতা আজিজুল মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সব হারিয়েছি।
সে ছিল অতি আদরের; সেজন্য সারা জীবন তাকে অনুভব করবো। আমি ন্যায়বিচার প্রত্যাশী, যেন আর কখনো এভাবে আমার মতো কোনো পিতা-মাতা তাদের সন্তান হারায়।’
একজন পারিবারিক বন্ধু জানান, ‘নাদিয়ার জন্ম অন্টারিওর হ্যামিল্টনে এবং বয়সের তুলনায় সে ছিল বুদ্ধিদীপ্ত-মেধাবী এবং সম্প্রতি তার দাদীর বাড়ীতে গিয়ে ভবিষ্যতে একজন নার্স হওয়ার স্বপ্ন ব্যক্ত করেছিল।
পাশাপাশি তার সহপাঠীরা জানিয়েছে, ‘সে ছিল সদা হাস্যাজ্জ্বল, কমিউনিটির একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং কমিউনিটির জন্য সেবাব্রতী একজন স্বপ্নদিশারী।’
তার জানাজা শেষে সেদিন বিকেলেই তাকে রিচমন্ড হিলের মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়। আর শোকে মুহ্যমান সকলে ছিলেন বাক-বিমূঢ়।