নার্সিং সপ্তাহ পালনে টিকাকরণে ব্যস্ততম সময় কাটিয়েছে জিটিএইচএ
টরন্টো, মে ১০: বৃহত্তর টরন্টো ও হ্যামিল্টন এলাকার ১১টি পৌর কর্তৃপক্ষ আজ তাদের নিয়মিত এক সাপ্তাহিক সভায় চলমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি জাতীয় নার্সিং সপ্তাহ পালন উপলক্ষে সকল নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর প্রতি তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তারা উপলব্ধি করেছেন, কোভিড পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে টিকাকরণ প্রক্রিয়াও বিস্তৃত হচ্ছে। সেজন্য বিধিনিষেধ প্রতিপালনে অধিবাসীদের ধৈর্য্যের প্রতিও তারা সপ্রশংস। এই সকল পৌর কর্তৃপক্ষ করোনার বিস্তার রোধের পাশাপাশি অতি সংক্রমণ এলাকায় টিকাকরণের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পরিচালনা করছে। এতে মেয়র ও চেয়ারম্যানবৃন্দ তাদের পুর্ণব্যক্ত অঙ্গীকারের সঙ্গে ঝুঁকি ও উপকারিতার দিকটি নাগরিক অবস্থান থেকে তত্ত্বাবধান করে যাচ্ছেন।
তাই ওই সপ্তাহ পালনে জিটিএইচএ’র মেয়র ও চেয়ারম্যানবৃন্দ এ যাবতকালে সর্বাধিক টিকাকরণের ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেছেন। তারা অতি সংক্রমণ এলাকায় কাজের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের অব্যাহত যোগানকে প্রশংসাসূচক উপলব্ধি করে সামনের দিনগুলোতে উপর্যুপরি যোগানকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে টিকাকরণে সহায়তা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন বলে আশাবাদী। একই সঙ্গে তাদের উৎকন্ঠা অন্টারিও প্রিমিয়ার ডাঘ ফোর্ড কর্তৃক ৬৫ শতাংশ অধিবাসীকে চলতি মে মাস শেষ হতেই কী করে টিকাকরণ করবেন। নির্দ্বিধায় সেটা কেবল অতিরিক্ত যোগানেই সম্ভব। এতে তারা প্রত্যাশা করছেন প্রতিষেধক টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার স্বচ্ছতাপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দেবেন।
বর্তমানে পূর্বাভাসপূর্ণ প্রাদেশিক নির্দেশনার কারণে টিকাকরণের কাজটি তুলনামূলক সহজসাধ্য উপায়ে এগিয়ে চলেছে। কেননা তাতে বিভিন্ন বয়স, পেশাগত দিক ও স্বাস্থ্যগত উপযোগিতার দিকটি সুবিন্যস্ত থাকায় টিকাকরণ সহজতর হয়েছে। এতে তারা বিশ্বাস করেন, মানুষ আগেভাগেই তাদের টিকা গ্রহণের বিষয়ে জেনে যাওয়ায় প্রত্যাশা ও সময়-সুযোগ বের করার ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থাপনা সাযুজ্যপূর্ণ হয়েছে।
বর্তমানে জিটিএইচএ এলকার মেয়র ও চেয়ারম্যানবৃন্দ প্রদেশের কাছে স্টে-এট্-হোম সংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধ ও সেই সংক্রান্ত পূর্বাভাস জানতে অতীব আগ্রহী। তাই ভিক্টোরিয়া ডে উইক-এন্ড এগিয়ে আসার সঙ্গে মানুষ স্বাভাবিক অর্থেই ব্যবসা-বানিজ্য খোলার সঙ্গে তাদের জীবানাচার ও বিনোদন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কী পরিস্থিতি হবে, তা জানতে বিষম ব্যাকুল। তাই তাদের প্রত্যাশা অন্টারিও প্রাদেশিক সরকার ওই সংক্রান্ত স্বচ্ছ ধারণা দেবার পাশাপাশি আদৌ জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় তা আবারও বাড়ানো হবে কিনা, জানতে চায়।