নুনাভাটের বিদায়ী এমপি মুমিলাক বলেছেন, ‘এটা আমার জায়গা নয়’

টরন্টো, জুন ১৬: নুনাভাট সংসদীয় আসনের এনডিপি দলীয় এমপি, মুমিলাক কাক্কাক সংসদে দেয়া তার বিদায়ী ভাষণে আদিবাসীদের শোষনের মাধ্যমে কানাডার প্রতিষ্ঠা, যার ইতিহাসে ‘রক্তের দাঁগ লেগে আছে’ বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘ফেডারেল ইনস্টিটিউশনের মতো এই জায়গায় আমার মতো মানুষের কোনো স্থান নেই। বাস্তবতাটি হচ্ছে এই ইনস্টিটিউশন এবং দেশ পেছনের দরজা এবং আদিবাসীদের অবিস্মরণীয় দুঃখবোধ ও স্থানচ্যুতির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’

তাই নুনাভাটের এই এমপি নিজেকে ‘অত্যাধিক বিচ্ছিন্ন’ আখ্যা দিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলে জানিয়েছেন।

কাক্কাকের এই ভাষণ অপরাপর ১১ জন বিদায়ী এমপির তুলনায় যথেষ্ট ব্যতিক্রমধর্মী ছিল, কেননা অপরাপররা কানাডার জন্য সেবা করতে পেরে তাদের প্রাপ্ত সন্মানবোধকে অত্যুৎজ্জ্বল করে তুলে ধরেছেন।

কিন্তু ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়ে কাক্কাক সেই সন্মানবোধ পার্লামেন্ট হিলের অভিজ্ঞতায় অবধারণ করতে পারেননি বলে ব্যক্ত করেছেন।

তার কথা, ‘যখনই আমি হাউজ অব কমন্সে প্রবেশ করেছি, যখনই চেম্বারে কথা বলেছি, প্রতিটি পদক্ষেপে আমার মনে হয়েছে এটা আমার জায়গা নয়।’

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘কখনোই নিজেকে নিরাপদ কিংবা অবস্থান বিবেচনায় সুরক্ষিত, বিশেষ করে হাউজ অব কমন্সে মনে হয়নি।’

পার্লামেন্ট হিলের হলওয়েতে নিরাপত্তা প্রহরীরা আমার পিছু নিয়েছে, ‘বলতে গেলে আমার দেহ স্পর্শ করতে চেয়েছে এবং আমার প্রতি বর্ণবিদ্বেষ পোষণ করেছে।’

এতে তিনি যে শিক্ষা পেয়েছেন, সেই অভিব্যক্তিটি হচ্ছে- ‘একজন অশ্বেতাঙ্গ নারী, দ্রুত কিংবা হঠাৎ চলা যাবে না, উচ্চস্বর করা যাবে না, কোনো নাটকীয়তা করা চলবে না, চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে এবং হাত দুটো লুকানো যাবে না।’

কাক্কাক বলেছেন, তিনি মীমাংসা, বৈচিত্র্যতা ও একান্নবর্তী হওয়া নিয়ে অনেক ‘সুমিষ্ট কথা’ শুনেছেন, কিন্তু তা কেবলই অন্তঃসারশূণ্য। তার কথা, ‘তার চেয়ে এটাই জেনে নেয়া সহজতর যে আমি ভুল এবং বাজেটে মৌলিক চাহিদা বলতে কিছু নেই, মৌলিক মানবাধিকার বলতে কিছু নেই যা অন্যদের জন্য উন্মুক্ত।’