পাকিস্তানের জন্য এক দুর্মর সময় অপেক্ষমান
প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে ইমরান খানের উৎখাত ভাবনারই বৈ কি? কী মনে হয়, উৎখাতকারীরা তাদের বিরুদ্ধে উদ্ভূত বিক্ষোভ সামাল দিতে পারবে? দুর্ভাবনারই বিষয়। কারণ, ২৪ ঘন্টার উপরে পর্যায়ক্রমিক দুটো টুইটে ইমরান খান লিখেছেন- ‘পাকিস্তানের জনগণকে তাদের সমর্থন ও আবেগের জন্য ধন্যবাদ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মদদে স্থানীয় মীরজাফররা ক্ষমতাসীন হয়েছে, যাদের প্রত্যেকে দুর্নীতির দায়ে জামিনে মুক্ত।
দেশ-বিদেশে তা পাকিস্তানিরা সেজন্য সংবেদনশীলতায় প্রত্যাখ্যান করেছে।’ আবারও লিখেছেন- ‘আমাদের ইতিহাসে কখনো দুর্নীতিগ্রস্থদের নেতৃত্বে আমদানিকৃত সরকার প্রত্যাখ্যানে এমন স্বতস্ফূর্ত ব্যাপকতায় জনসমাবেশ ঘটেনি।’
রোববার স্বচক্ষে কানাডার টরন্টোর ডানডাস স্কোয়ারে তেমন একটি সমাবেশ দেখেছি, যেখানে কয়েক হাজার স্লোগানমুখর প্রবাসী পাকিস্তানির কন্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে: ‘চোরদের ফাসি চাই, বেঈমানদের ফাসি চাই।’
বিস্ময় জাগে, ইমরান খান কী করে তার জাতিকে এমন সন্ধিক্ষণে নিয়ে এলেন? আমরা কী তার রাজনৈতিক জাদুটি বুঝতে পেরেছি? এ যেন পাকিস্তানের বেঈমানদের মাঝে একজন নেতাই গ্রীক পৌরাণিক ‘ক্লোজোস অব রোডো’র মতো আপন মহীমায় অতন্ত্র প্রহরী। এখন যা তার দাবিকৃত প্রতীকী আবেশে পরাশক্তির রাজধানীতে সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্নে উন্মত্ত।