‘ফ্যান্টমস অব চিটাগং’ প্রামাণ্যটিত্রে ভারতীয় ‘এসএফএফ’
সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শান্তিতে নোবেলজয়ী দালাই লামার অনুসারী যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, অর্থাৎ যারা উঁচু পাহাড়ে যুদ্ধেপারঙ্গম সেই তিব্বতী ‘চুশি গ্যাংদ্রুক’ গেরিলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার তিব্বতী শরণার্থী নিয়ে গঠিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন ইউনিট হচ্ছে ‘স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’, সংক্ষেপে ‘এসএফএফ’। ১৯৬২ সালে ভারত ও চীনের যুদ্ধের পরই এই বাহিনীটি গড়ে তোলা হয়।
অধুনা ‘ফ্যান্টমস অব চিটাগং’ (ইউটিউবে বিদ্যমান) প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা তিব্বতী সাংবাদিক কালসাং রিনচেন আমাকে বলেছেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালেও বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, তখনও আমাদের কথা গোপন রাখা হয়েছিল, এরপর ১৯৯১ সালে কারগিলে আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সে কথাও গোপন রাখা হয়। কিন্তু এখন এই প্রথমবারের মত বিষয়টা স্বীকার করা হলো। আমি এতে খুবই খুশি হয়েছি।’
বস্তুত ২০২০ সালের আগস্টে ভারতের উত্তর সীমান্তে যখন ভারত ও চীন সংঘাতের মুখোমুখি, তখন লাদাখের প্যাংগং সো লেকের কাছে এক ভূ-মাইন বিস্ফোরণে ৫১ বছর বয়সী ভারতীয় কমান্ডো নিইমা তেনজিন মারা যান। তিনি তিন দশকের বেশি সময় ধরে ‘এসএফএফ’ বাহিনীতে ছিলেন। তার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন ক্ষমতাসীন বিজেপির উর্ধ্বতন নেতা রাম মাধব। আর তখন থেকেই এই প্রচারের সূত্রপাত।
Pic from https://www.empoweringvision.org/portfolio/kalsang-rinchen/