বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং নতুন গণমাধ্যম কর্মী আইন

‘অ্যাজ জার্নালিজম গোওস, সো ডাজ ডেমোক্রেসি’ অর্থাৎ ‘সাংবাদিকতার অগ্রযাত্রায় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা’ এটি কানাডিয়ান জার্নালিজম ফাউন্ডেশন (সিজেএফ)-এর মূলমন্ত্র, যা ১৯৯০ সালে সাংবাদিকতার উৎকর্ষতায় প্রতিষ্ঠিত। সেজন্য ‘সিজেএফ’-এর উদাহরনের কারণ, বাংলাদেশে প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইনটি শ্রম আইনের পরিপন্থী, সেটাই জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। 

গত ২৪ এপ্রিল সংগঠনের সভাপতি একে আজাদ ও সহ-সভাপতি এএসএম শহীদুল্লাহ খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থসহ সংবাদপত্রের বিকাশ সংকুচিত হবে।’

এতে যথার্থভাবে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত গণমাধ্যম কর্মী আইনটি পাস হলে শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র আরও রুগ্ন হবে এবং একই সঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য তা হবে মর্যাদাহানিকর’; তাই ‘এই নতুন আইনের কোনো প্রয়োজন নেই।’

তাহলে কে ‘রুগ্ন’ কিংবা কার ‘মর্যাদাহানি’ ঘটবে তার পুনরাবৃত্তি না করে সাহসিকতায় জানা দরকার- আমরা কি আমাদের বিকশিত গণতন্ত্রের জন্য সাংবাদিকতার প্রসার চাই? ভাবুন, সূচনায় সিজেএফ-এর মূলমন্ত্রটি এখানে মোক্ষম।

Pic from https://humanrightshouse.org/articles/censorship-of-the-media-in-croatia/