শিক্ষা সপ্তাহে শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব্রদানের আহ্বান জানিয়েছে ওপিএসবিএ
টরন্টো, মে ৩: অন্টারিও পাবলিক স্কুল বোর্ডস অ্যাসোসিয়েশন, সংক্ষেপে ‘ওপিএসবিএ’ শিক্ষা সপ্তাহ পালনের সঙ্গে প্রদেশব্যাপি তাদের বিগত বছরের, বিশেষত করোনা মহামারিকালে তাদের চ্যালেঞ্জ পরিপূরণের সঙ্গে শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপের আহবান জানিয়েছে। এতে প্রতি বছর মে মাসের প্রথম পূর্ণ সপ্তাহ জুড়ে অন্টারিও প্রদেশে শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকেরা মিলে শিক্ষার উৎকর্ষতাটি উদযাপন করে থাকে।
এ উপলক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওপিএসবিএ–র সভাপতি ক্যাথি আব্রাহাম বলেছেন, ‘কঠোর অধ্যাবসায়, উদ্ভাবণ ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই মহামারি সত্ত্বেও তাদের জ্ঞান অনুশীলন অব্যাহত রেখেছে।’
এ বছরের শিক্ষা সপ্তাহের মূলভাব হচ্ছে, #স্ট্রংগারটুগেদার, যা পুরোপুরি শিক্ষা পরিমন্ডলে যুক্ত শিক্ষক, তত্ত্বাবধায়ক ও ট্রাস্টিকে একীভূত করেছে; এমনকী বলতে গেলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত ব্যক্তিবর্গ, যারা কোভিড–১৯ মহামারিতে তাদের কর্মপদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখেছেন। পাশাপাশি শিক্ষার আগ্রহ পরিপূরণে হঠাৎ অনলাইনে শিক্ষাদান এবং অতিমাত্রায় পরিচ্ছন্নতা ও স্ক্রিনিং রক্ষা করেছেন, শিক্ষার্থীরা এই সপ্তাহে সেই সকল শিক্ষক, তত্ত্বাবধায়ক, প্রিন্সিপাল, প্রশাসক ও সকল আত্মনিবেদিত শিক্ষা কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করবে।
বাস্তবে ওপিএসবিএ হচ্ছে সরকারি ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড ও সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে গঠিত সমিতি, যা এলিমেন্টারি ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদানে নিয়োজিত। তারা বিশ্বাস করেন, অন্টারিও’র শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্ব জোড়া সুপরিচিত এবং সেখান থেকে প্রতি বছর এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী তাদের দৈনন্দিন ও বছরভিত্তিক সফলতার নিদর্শন স্থাপন করে চলেছে। কারণ শিক্ষার্থীরা আদিবাসীসহ কানাডার ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানছে, রোবোটিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে, অংকের গুণন ও জ্যামিতি প্রভাব অনুধাবন করছে, পোকামাকড় ব্যবচ্ছেদ করছে, চিত্রশিল্প আঁকছে, সঙ্গীত রচনা করছে, উপন্যাসের সম্মোহনী শক্তি জানছে এবং তাদের একক ও দলীয় কর্মের দক্ষতা অর্জন করছে। আবার যখন বিরতী পাচ্ছে, তখন ক্রীড়ামোদী হয়ে ওঠছে এবং কর্মের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণের সঙ্গে অনুশীলনটি অর্জন ও বহুবিদ বিষয় সম্পর্কে জানছে।
তাই এই শিক্ষা সপ্তাহ পালনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অর্জনগুলোও তুলে ধরা হবে। যদিও করোনা মহামারির কারণে তারা তাদের সতীর্থ ও শিক্ষকদের সঙ্গে বহু মূল্যবান সময় বিনিময় থেকে বঞ্ছিত হয়েছে, যা আর কখনোই ঘটেনি, সেটারও মূল্যায়ণ করবে ওপিএসবিএ।
কেননা ওপিএসবিএ বিশ্বাস করে মহামারি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের উপর ব্যাপক ধকল সৃষ্টি করেছে, সেজন্য তারা গর্বিত যে প্রত্যেকেই নিরাপদ ও উদ্ভাবণী শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করে অতুৎজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। সেজন্য ওপিএসবিএ শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে অনাগত ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের বেড়ে ওঠায় শিক্ষালাভের পরিবেশটি অক্ষুন্ন থাকে।