ব্রিকস কি পাশ্চাত্যের কাছ থেকে বিশ্বনিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেবে?
চলতি বছরের মার্চে সর্বশেষ চীনের প্রেসিডেন্ট যখন মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন, তখন এই দুই কর্তৃত্ববাদী নেতা এক অর্থে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী অবস্থান থেকে পাশ্চাত্য নিয়ন্ত্রিত বিশ্বনিয়ন্ত্রণ (ওয়ার্ল্ড অর্ডার) কেড়ে নেবার প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করেছেন। এতে স্বাভাবিকভাবে ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চায়না ও সাউথ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রিকস’-এর জোহানেসবার্গের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র স্যান্ডটনে অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ সম্মেলনে চীনা নেতা বিকশিত উন্নয়নশীল দেশের মাঝে বেইজিংয়ের প্রভাবকে বিস্তৃত করায় উদ্যোগী হবেন, কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্যমান টানাপড়েনের পাশাপাশি নিজ দেশে রয়েছে তার অর্থনেতিক চাপ।
ইতোমধ্যে পুতিন দেশ থেকেই ভিডিও কলে তাতে যুক্ত হবেন, যেহেতু তার বিরুদ্ধে ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বলবৎ রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা, যা স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক অহিনুকূল বিপদে ফেলেছে। তা হলে কি হবে ইন্ডিয়া ও ব্রাজিলের ভূমিকা?
নিঃসন্দেহে সম্মেলনে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা ও সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার সঙ্গে যোগ দিয়ে এক মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।
অতএব, দক্ষিণ বলয়ের জাতিগোষ্ঠির মাঝে দৃঢ়তর সহযোগিতার প্রত্যয়ে সম্মেলনটির আলোচনা মুখ্য প্রতিপাদ্য হয়ে ওঠবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর পাশ্চাত্যের কর্তৃত্বপরায়ন প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাশিয়া ও চীনের দৃপ্ত বাসনাটিই পরিস্ফূট হবে। এছাড়াও ব্রিকসে যোগদানে ইচ্ছুক উনয়নশীল দেশসমূহেরও নজর কাড়ার প্রচেষ্টা থাকবে। উপরন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতির উন্মেষ ঘটানোর ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক একাগ্রতার আগ্রহপূর্ণ আলোচনাগুলোই সবিশেষ ভূমিকা রাখবে।
(pic from https://www.brics23.com/history-of-brics/)