নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের জেলে যাওয়া কি বাংলাদেশে অত্যাসন্ন?
এমন উৎকন্ঠাই প্রেস বিজ্ঞপ্তির শিরোনামে প্রকাশ পেয়েছে গত সোমবার ২৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিশনের ওয়েবসাইটে, যা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি—ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘সিভিক কারেজ’। এটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন ‘রিক্লেইমিং আওয়ার ডেমোক্রেসি’ গ্রন্থের রচয়িতা স্যাম ডালে—হ্যারিস।
সেটির ইংরেজি শিরোনাম বলছে— ‘বিশ্ব নেতৃবর্গ ও সিভিক কারেজ শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য কারাবরণে উদ্বিগ্ন, তারা সুবিচার চেয়েছেন।’ এরপরই পটভূমিতে মার্চ মাসে পাঠানো একটি চিঠির উদ্ধৃতিতে জানিয়েছে, “শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য দন্ডাদেশের প্রেক্ষাপটে দানাবাঁধা উৎকন্ঠায় ১৬০—এর অধিক বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, যার মাঝে ১০০ নোবেলজয়ী রয়েছেন, তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লিখেছেন ‘..,আমরা উৎকন্ঠিত যে তাকে [প্রফেসর ইউনূস] চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আমাদের বিশ্বাস বিচারের নামে অহরহ হয়রানি করা হচ্ছে…’ আরও যোগ করে তারা বলেন ‘…তার নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিয়ে উৎকন্ঠিত’।”
এই নেতৃবর্গ মধ্য—আগস্টে একটি আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠানের দেয়া রিভিউ থেকে জেনেছেন যে, ‘প্রফেসর ইউনূস ৬ মাসের দন্ডাদেশযুক্ত একটি অপরাধে দন্ডিত হতে যাচ্ছেন, যা তিনি করেননি, এমনকী তা আইন বর্হির্ভূত…ঘটনাপ্রবাহ দ্রুতই আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে ঘটছে এবং ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনের আগেই প্রফেসর ইউনূসকে জেলে পাঠানো হবে…ওই অভিযোগের পুরোপুরি কোনো ভিত্তিও নেই, কিন্তু আইনি পদ্ধতিতে সেখানে ভুল আইন রয়েছে…একটি অবিচার বাংলাদেশে ঘটতে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবশ্যই শেষাবধি তা চালাতে দেয়া যাবে না।’
প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে ওই চিঠিতে স্বাক্ষরদাতাদের মাঝে রয়েছেন— যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে র্যামস—হোর্তা ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন। পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ওবামা [প্রফেসর ইউনূসকে] লিখেছেন, ‘এই সময়ে আমি আশা করি তা আপনাকে শক্তি জোগাবে, যাদের কর্মোদ্যমকে আপনি কাজে লাগিয়েছেন এবং সেই সকল মানুষ যারা সকলের সমাধিকারপূর্ণ অর্থনৈতিক ভবিষ্যত চায়, তারা সকলে আপনার কথা ভাবছে এবং আমি আশা করি আপনি আপনার গুরুত্ববহ কাজের স্বাধীনতা পাবেন।’