করোনা প্রকোপে ব্রাম্পটনের বৃহৎ আমাজন প্রকল্প বন্ধ ঘোষিত
মোহাম্মদ আলী বোখারী, সিএনএমএনজি নিউজ
টরন্টো – পিল জনস্বাস্থ্য দপ্তরের চলমান তদন্তের কারণে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ব্রাম্পটনে আমাজনের বৃহৎ প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ, সেখানকার ৫ হাজার কর্মচারির মাঝে কমপক্ষে ৬১৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সেখানকার সব কর্মচারিকে দুই সপ্তাহের স্বেচ্ছা অন্তরীণে যেতে বলা হয়েছে।
সংবাদ সূত্রে প্রকাশ, ব্যাপক আকারে করোনা সংক্রমণ ঘটায় শুক্রবার মধ্যরাতের পর ব্রাম্পটনের ৮০৫০ হেরিটেজ রোডে অবস্থিত ওই প্রকল্পের সকল কর্মচারিকে আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্বেচ্ছা অন্তরীণে থাকতে বলা হয়েছে। পিল জনস্বাস্থ্যের এক বিবৃতিতে প্রকাশ,‘কোভিড-১৯ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ গত কয়েক সপ্তাহে তুলনামূলক পিল অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ হ্রাস পায়।’
তবে পিলের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লরেন্স লোহের মতে, ওই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সপ্তাহে ২৪০ জনের মাঝে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে, যার মাঝে ১০ জন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত।
একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্রাম্পটন ট্রানজিট বাস রুটের ৯ জন বাস চালক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ব্রাম্পটন সিটি কর্তৃপক্ষ তাদের আংশিক রুট বন্ধ করে দেয় ।
এতে আমাজন ভাড়া করা বাসে নিজেদের কর্মচারি পারাপারের উদ্যেগ নেয়। তবে ডা. লোহের মতে কোনো সুনির্দিষ্ট সংক্রমণ সম্পর্ক এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি, বিশেষ করে আমাজন প্রকল্প সংলগ্ন ৫১১ রুটে চলাচলকারী বাসে তার কোনো হদিস মিলেনি। তার মতে, ‘দুর্ভোগ এড়াতে’ আমাজন প্রকল্পটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই আমাজন প্রকল্পের মুখপাত্র ডেভ বোয়ার জানান, মহামারির ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে সব কিছুই করা হয়েছে, যার মাঝে কর্মচারিদের শতভাগ পরীক্ষণ করা হয়েছে। তবে তার ভাষায়, তাতে আমাদের ক্রেতা সাধারণের উপর সাময়িক প্রভাব পড়বে।
ওই আমাজন প্রকল্প বন্ধের আগে শুক্রবার রাতে ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন বলেছেন, আমাজন আন্তর্জাতিকভাবে বড় কোম্পানি হলেও স্বাস্থ্য ও অধিবাসীদের সুরক্ষা সবচাইতে প্রথ বিবেচিত। আমি আশ্বস্ত যে, জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যথোপযুক্ত পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে। তথাপি কমিউনিটিতে সংক্রমণের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মেয়রের ভাষায় আমাজনের সংক্রমণ বিস্তৃতি বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। তার মতে, প্রকল্প বন্ধ করে দেয়ায় পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটা সম্ভব। তবে হটস্পট হওয়ায় এখানকার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই ক্ষতির মুখে পড়েছে।