কোভিড টিকা নিতে উৎসাহ জুগিয়েছেন টরন্টোসহ ১১ শহরের মেয়র মোহাম্মদ আলী বোখারী, সিএনএমএনজি নিউজ
টরন্টো – গত সোমবার বৃহত্তর টরন্টো ও হ্যামিল্টন এলাকার ১১টি শহররের মেয়র ও চেয়ারম্যানবৃন্দ তাদের সাপ্তাহিক সভায় চলমান কোভিড মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ১১টি অঞ্চলকে সংক্ষেপে ‘জিটিএইচএ’ বলা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানা গেছে।
তারা বলেন, জিটিএইচএ’র বাসিন্দাদের জন্য এই মেয়র ও চেয়ারম্যানরা প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এতে ফেডারেল সরকার কোভিড-১৯ এর টিকা সংগ্রহ ও সরবরাহে নিয়োজিত, যেখানে প্রাদেশিক সরকার টিকা প্রদানের যাবতীয় কাঠামো প্রণয়নের দায়িত্ব নিয়েছে এবং পৌর কর্তৃপক্ষ মানুষের দেহে সরেজমিনে ওই টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থাপনায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। একই সঙ্গে তারা বলেন, টিকা সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জিটিএইচএ’র এই পৌর কর্তৃপক্ষ সহযোগি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে ৮০ ঊর্ধ্ব বয়সীদের জন্য টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। তবে তারা বলেন, এই টিকা প্রদানের বিষয়টি সরবরাহের উপর ভিত্তি করে একটি বড় ইস্যু হিসেবেই প্রতিপন্ন হবে, কেননা তাতে সরবরাহ সংখ্যা ও নির্ভরযোগ্যতার উজ্জ্বলটি আবদ্ধ।
এই মেয়র ও চেয়ারম্যানবৃন্দ তাদের সকল অধিবাসীকে দ্রুত টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক আহ্বান জানিয়েছেন, যখনই যেখানে তাদের উপযুক্ততা ও সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলেন, এই টিকাদানের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ বিষয়, তাই পরের সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ‘সেন্ট প্যাটিক্স ডে’-কে কেন্দ্র করে বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পাশাপাশি পরিহারযোগ্য বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে চলবেন।
তারা বলেন, টিকা গ্রহণের সঙ্গে ওই বিধিবিধানগুলো মেনে চলার সঙ্গে তারা তাদের প্রিয়জনকে রক্ষা দিতে পারবেন, পাশাপাশি কোভিড-১৯ বিস্তৃতি রোধের সঙ্গে সমগ্র জিটিএইচএ এলাকাটি পুরোপুরি আবারও উন্মুক্ত করায় সহযোগিতা জোগাবেন।