বাংলাদেশের উপর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
মোহাম্মদ আলী বোখারী, সিএনএমএনজি নিউজ
টরন্টো, ১৯ মার্চ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ১১৭তম অধিবেশনের প্রথম সেশনে গত ১৬ মার্চ ‘এইচ. রেজ. ২৩৯’ শিরোনামে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেটির প্রস্তাবক আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এবং তার সহযোগী প্রস্তাবক হচ্ছেন যথাক্রেমে রাশিদা তিলায়েব, জিমি গোমেজ ও গ্রেগরি ডব্লিউ. মিক্স। তারা সকলেই ওই কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধি।
এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলা ঐতিহ্যগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে প্রাচুর্যপূর্ণ এবং ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তি পূর্ব বাংলা প্রদেশের সৃষ্টি করে এবং ১৯৫৪ সালের এক দফা কর্মসূচি পূর্ব বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানে রূপান্তর করে। এরপর ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে পুর্ব পাকিস্তান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পশ্চিম পাকিস্তানভিত্তিক সামরিক নেতৃত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পূর্ব পাকিস্তানে মার্শাল ল’ জারি করে।
তাতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাটি দেন। এরপর সুদীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে লাখো মানুষের বাস্তুচ্যূতি ও আত্মাহুতির মাঝে ভারতীয় ও বাংলাদেশি যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ ঘটে। ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আত্মত্যাগ আমাদের মহান অতীতকে জাগ্রত করেছে’ এবং স্বাধীনতার জন্য আমেরিকার মানুষের দৃষ্টান্তকে পারস্পরিকভাবে একান্নবর্তী করেছে। পাশাপাশি ২০১৭ সালের আগস্টে একাত্তর সালের যুদ্ধে শরণার্থী হওয়া বাঙালির মতো বার্মায় গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে।
পরিশেষে তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলার ঐতিহ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দানের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতি অবিচল থাকার নীতিকে সমর্থন জানানো হয়। পাশাপাশি গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।