কানাডিয়ানদের প্রতি ‘দৃঢ় মনোবল’ থাকার আহবান জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো মোহাম্মদ আলী বোখারী, সিএনএমএনজি নিউজ
টরন্টো, এপ্রিল ১: গত দুই দিনে স্থানীয় রেডিও ও টেলিভিশনের ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে, হঠাৎ করেই করোনা টিকার তোড়জোর শুরু হয়েছে। কারণ ফেডারেল সরকার আগের চেয়ে নড়েচড়ে বসেছে এবং প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে দ্রুততম সময়েই কানাডার জনগণ তাদের টিকা পেতে যাচ্ছেন। এতে রাজধানী অটোয়া থেকে বলা হয়েছে, তিনটি অনুমোদিত ভ্যাকসিন নির্মাতারা কয়েক লাখ অতিরিক্ত ডোজ সরবরাহ করতে যাচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ফেডারেল সরকারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক গ্রীষ্মের শেষ থেকে জুনের মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেক ৫০ লাখ ডোজ টিকা কানাডাকে সরবরাহ করবে। তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ওই ঔষধ নির্মাতা এপ্রিল-জুনে ১ কোটি ৭৮ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে, তাতে এপ্রিল-মে মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডোজ এবং জুনে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ২০ লাখ টিকার জোগান দেবে।
সংগ্রাহক মন্ত্রী অনিতা আনন্দ জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসের শেষে জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রথম ডোজের টিকাগুলো এসে পৌঁছুবে। তবু তাদের সরবরাহের সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটি জানা যায়নি। যদিও সেটি তিন সপ্তাহ আগে হেলথ্ কানাডা কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। মন্ত্রী আরও বলেন, জুনের শেষে ৪৪ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবে কানাডা, যা সরাসরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও কোভ্যাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইনিশিয়াটিভ থেকে আসবে।
তাতে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কথা হচ্ছে, ‘মাসের পর মাস ধরে আমরা যা বলেছি, এবং গত বছর থেকে প্রদেশ ও টেরিটরির জন্য যা পরিকল্পনা করেছি, তাতে মার্চের শেষ থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় টিকার সরবরাহ নিশ্চিত হবে। এখন এপ্রিল শেষ হওয়ার আগেই আমরা প্রতিশ্রুত নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত ৬০ লাখ ডোজ প্রদানে সক্ষম হয়েছি।’
জানা গেছে, এ সপ্তাহেই কেবল আসছে ৩২ লাখ ডোজ টিকা, যা ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া টিকা কার্যক্রমের সংখ্যাকে সাড়ে ৯০ লাখে উপনীত করবে। এর মাঝে ৫৫ বছর নিচের জনগোষ্টিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিতের পর তারই অর্ধেক সরবরাহটি আসছে। মন্ত্রী আনন্দের ভাষায়, কানাডা ডে’র আগেই ৪ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা এসে পৌঁছুবে। তাতে ১৬ বছরের উপরে কানাডার ৩ কোটি ১০ লাখ জনগোষ্ঠিকে প্রথম ডোজের টিকাটি প্রদান করা সম্ভব হবে।
তবু প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কানাডিয়ানদের প্রতি সতর্কতাপূর্ণ নির্দেশনা হচ্ছে, তারা যেন ‘দীর্ঘ সময় মনোবলটি ধরে রাখেন’, কেননা ভেরিয়্যান্টের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেশব্যাপি হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে। তার কথা, ইস্টার/পাসওভারে যেন কোনো পার্টি করা না হয়।